আগামী আমন মৌসুমে ১০ লাখ মেট্রিক টন ধান চাল সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যসচিব মো. মাসুদুল হাসান। তিনি জানান, ৩৩ টাকা কেজি দরে ধান, ৪৭ টাকা কেজি দরে সিদ্ধ চাল এবং ৪৬ টাকা কেজি দরে আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে।বুধবার (০৬ নভেম্বর) খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভা শেষে খাদ্যসচিব এসব কথা জানান। সভায় খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।সভায় দেশের সার্বিক খাদ্য পরিস্থিতি ও আসন্ন আমন সংগ্রহের কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।খাদ্যসচিব বলেন, আগামী আমন সংগ্রহ মৌসুমে ৩৩ টাকা কেজি দরে ৩ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান, ৪৭ টাকা কেজি দরে ৫ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং ৪৬ টাকা কেজি দরে ১ লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে।তিনি বলেন, সিদ্ধ চাল ও ধান আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ এর মধ্যে সংগ্রহ করা হবে। আতপ চাল ১৭ নভেম্বর থেকে ১০ মার্চ ২০২৫ এর মধ্যে সংগ্রহ করা হবে।
খাদ্যসচিব বলেন, এটা আমাদের রুটিন মিটিং। প্রতি বছর এই মিটিং হয়। এবছর আমরা ৩৩ টাকা কেজি দরে ধান, ৪৭ টাকা কেজি দরে সিদ্ধ চাল এবং ৪৬ টাকা কেজি দরে আতপ চাল সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গত বছরের তুলনায় দাম বেড়েছে। উৎপাদন খরচ এ বছর দুই থেকে আড়াই টাকা কেজিতে বেড়েছে।বাজারে বর্তমানে চালের দাম অনেক বেশি, সে প্রেক্ষিতে চাল আমদানির কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে মাসুদুল হাসান বলেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর আমরা সরকারের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত পেয়েছি ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির করার। এর মধ্যে ৩ লাখ মেট্রিক টন জি টু জি ভিত্তিতে এবং ২ লাখ মেট্রিক টন উন্মুক্ত দরপত্রের ভিত্তিতে।কত দিনের মধ্যে আসবে জানতে চাইলে সচিব বলেন, কতদিনের মধ্যে সেটা বলা যাবে না। টেন্ডার ওপেন করা হলে যতদিন সময় দেওয়া থাকে ততদিনের মধ্যে আনতে হবে। ইতোমধ্যে আমাদের টেন্ডার ওপেন করা হয়েছে। কিছু বাতিল করা হয়েছে। যাদের গ্রহণ করা হয়েছে কিছু দিনের মধ্যে তাদের জানিয়ে দেওয়া হবে। টেন্ডারে যে তারিখ দেওয়া আছে সেই তারিখের মধ্যেই এই চাল আনতে হবে।
কোন কোন দেশ থেকে চাল আমদানি করা হবে জানতে চাইলে খাদ্যসচিব বলেন, দেশ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।বেসরকারিভাবে যে চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় সেই চাল আমদানি করা হয় না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা এনবিআর জানে।বাজারে চালের দাম বেড়েছে সে বিষয়ে আপনাদের কোনো বক্তব্য আছে কি না জানতে চাইলে খাদ্যসচিব বলেন, আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি আছে, টিসিবির মাধ্যমে সহায়তা করা হচ্ছে, সেটা বাড়ানো হতে পারে।